সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৪২ পূর্বাহ্ন
দৈনিকবিডিনিউজ৩৬০ ডেস্ক : ইংলিশে একটি প্রবাদ আছে, ‘মর্নিং শোজ দ্য ডে’। এর অর্থ হল, দিনের শুরুতেই বোঝা যায় পুরো দিনটি কেমন কাটবে। কথাটা বেশ কিছু ক্ষেত্রেই সঠিক। বিশেষত দিনের শুরুর ধরণটা যদি নিজের হাতে থাকে তাহলে তো কথাই নেই।
অনেকেই অভিযোগ করেন, সারাদিন কাজ করার মতো যথেষ্ট এনার্জি পাওয়া যায় না, শক্তি থাকে না, ক্লান্তি কাজ করে। এই সমস্যাগুলোকে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দূর করা সম্ভব প্রতিদিনের সকালের রুটিনকে পরিবর্তন করার মাধ্যমে। আজকের ফিচারে তুলে আনা হলো সকালে পাঁচটি সাধারণ কাজকে, যা দিনভর শক্তি যোগাতে কাজ করবে।
সকালে ঘুম থেকে উঠে বিছানা গোছানো কতটা জরুরি তা হয়তো অনেকেই জানেন না। কিন্তু সকালে নিজ বিছানা গোছানোই আপনাকে সারাদিন সংগঠিত রাখতে সহায়তা করবে। দিনের শুরুটা বিছানা গোছানোর মাধ্যমে শুরু করলে পুরো দিনটিও গোছানোভাবে কাটবে। অনেকের কাছে এই কাজটিকে সাধারণ গৃহস্থালির কাজ মনে হতে পারে, কিন্তু এই সাধারণ কাজের একটি মনস্তাত্ত্বিক দিকও রয়েছে। সকালে ঘুম থেকে উঠে বিছানা গোছানোর পর মানসিক তৃপ্তি ও প্রশান্তি কাজ করে এতে করে মনে হয়, দিনের প্রথম কাজটি শেষ হয়েছে। ফলে সামান্য এই কাজটি একটি দিনকে সুন্দরভাবে শুরু করতে সহায়তা করবে।
শারীরিক কার্যকলাপ স্বাভাবিক রাখার জন্য পানি পান আবশ্যিক। একজন পূর্ণ বয়স্ক মানুষের প্রতিদিন ৮-১০ গ্লাস পানি পানে করা প্রয়োজন নিজেকে সুস্থ রাখার জন্য। কিন্তু এই ৮-১০ গ্লাস পানি দিনের যেকোন সময়ে একবারে নয়, পুরো দিনভর ধাপে ধাপে পান করতে হয় এবং পানি পান করা শুরু করতে হয় দিনের শুরুতে খালি পেটে। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এক গ্লাস পানি পান করলে, তা শরীর থেকে সব ধরনের টক্সিন পদার্থ বের করতে সাহায্য করবে। সাধারণ পানি পান করলেও কাজ হবে, তবে কুসুম গরম পানিতে লেবুর রস মিশিয়ে পান করলে বেশি উপকারিতা পাওয়া যাবে।
শারীরিক সুস্থতার জন্য শরীরচর্চা করার কথা বলা হলেও, দিনের শুরুতে শরীরচর্চা করার ফলে দিনভর এনার্জি পাওয়া যাবে এবং শরীর-মন উভয়ই প্রফুল্ল থাকবে। এ কারণে শরীরচর্চা প্রতিদিনের সকালের অবশ্য কাজগুলোর মাঝে একটি করে নিতে হবে। খুব ভারি কোন শরীরচর্চার প্রয়োজন নেই। ফ্রি হ্যান্ড এক্সারসাইজ, দ্রুত হাঁটার মতো সাধারণ শরীরচর্চা থেকেই উপকার পাওয়া যাবে। বিজ্ঞান জানাচ্ছে, সকালে যেকোনও ধরনের শারীরিক পরিশ্রম করলেই ভালো থাকার হরমোন নিঃসরণের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। যা পুরো দিনভর কার্যকর থাকে।
খাদ্যাভ্যাসের খুব সহজ ও প্রচলিত নিয়ম হচ্ছে- সকালে খেতে হবে সবচেয়ে বেশি, দুপুরে তার চেয়ে কম এবং রাতের বেলা দুপুরের চেয়েও কম। তবেই ওজনসহ নিয়ন্ত্রণে থাকবে শারীরিক সুস্থতা। কিন্তু আমাদের ক্ষেত্রে ঘটে ঠিক তার উল্টোটা। তাই সকালের নাশতার দিকে নজর দিতে হবে সবচেয়ে বেশি। পেট ভরে স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে নাশতায়। এতে করে ঘনঘন ক্ষুধাভাব দেখা দেবে না, দিনভর এনার্জি পাওয়া যাবে এবং কাজ করার মতো পর্যাপ্ত শারীরিক শক্তি পেয়ে যাবে শরীর।
সকালবেলা নাশতা শেষে পুরো দিনের কাজের একটি তালিকা তৈরি করে ফেলুন। এতে করে পুরো দিনের কাজের ধরণ সম্পর্কে আগে থেকেই আইডিয়া হয়ে যাবে এবং গুছিয়ে নেওয়া সম্ভব হবে। এর ফলে আপনার কাজ করা তুলনামূলক অনেক সহজ হয়ে যাবে।
এসএস